আজ সোমবার, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২শ’ বছরের রাস্তা বন্ধ!

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ

মদনগঞ্জে নির্মাণাধীন ৩য় শীতলক্ষা সেতুর নকশায় ২০০ বছরের উপজেলা সড়কটি বিলুপ্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকালে ফরাজিকান্দা এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ৩য় শীতলক্ষা সেতু বন্দর ও নারায়ণগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত একটি একটি উন্নয়ণ প্রকল্প। প্রধাণমন্ত্রী কর্তৃক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপণের পর বর্তমানে এর কাজ চলছে পুরোদমে চলছে। এরইমধ্যে এমরা জানতে পারি যে, শীতলক্ষা সেতুর মদনগঞ্জ অংশের শেষ মাথায় অবস্থিত ২০০ বছরের পুরানো ও প্রায় ১০ লাখ মানুষের চলাচলের ফরাজিকান্দা সড়কটির উপর দিয়ে সেতু যাচ্ছে।

ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বন্ধ হয়ে যাবে। এই সড়ক বন্ধ হলে বন্দরের দক্ষিনাঞ্চলের সাথে যোগাযোগব্যবস্থা পুরোটাই বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় উপজেলা পরিষদসহ সরকারী অফিস, বসুন্ধরা সিমেন্ট, সামিট পাওয়ার প্লান্টসহ অসংখ্য মিল কারখানায় যাতায়াতও বন্ধ হয়ে যাবে। কয়েক লাখ কর্মজীবী মানুষ এতেকরে বিরাট সমস্যায় উপনীত হবে। তাই উপজেলা নির্বাহী কমকর্তার মাধ্যমে মাননীয় প্রধাণ মন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন জনগুরুত্ব বিবেচনায় শীতলক্ষা সেতুর নীচ দিয়ে টানেল বা উপরে ফ্লাইওভার করে রাস্তাটি চালু রাখার দাবি করছি।

এক সময়কার নামকরা চিকিৎসক পাকিস্তানের ডাউ মেডিকেল কলেজের ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা ডা. আনিসউজ্জামানের ছেলে খালিদ বিন আনিস এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন শাহাদুল্লাহ মুকুল, কাজী সাঈদ, সাউদ আহমেদ পাভেল, আলী আহাম্মদ, ইউনুস ভুইয়া, ইস্রাফিল, শাহিন, মামুনুর রশিদ রতন প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে এলাকাবাসী।
এব্যাপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার জানান, সড়কটি বন্ধ হলে উপজেলায় যাতায়াতসহ অনেক মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ হবে। আমরা বিষয়টি সেতু মন্ত্রনালয়কে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তারা আশ^স্ত করেছে এখানে যাতায়াতের সড়ক থাকবে। এলাকাবাসীর দাবিটাও আমরা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানাবো।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ